Symptoms of Computer Virus Infection

What is Computer Virus? | কম্পিউটার ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ

কম্পিউটার ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ

আজকের আর্টিকেলে আমরা কম্পিউটার ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ গুলোর বিষয় জানবো। আপনার কম্পিউটারে যদি ভাইরাস থাকে তাহলে কিভাবে বুঝবেন সেই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো।

আমরা প্রত্যেক দিন কম্পিউটারে hard drive, pen drive, mobile ইত্যাদি কানেক্ট করে বিভিন্ন ধরনের ফাইল (file) আদান প্রদান করি।

তাছাড়া, বর্তমান কম্পিউটার গুলো সিস্টেম গুলো ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত থাকে। যার মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন অনলাইন ওয়েবসাইট গুলোতে প্রবেশ করতে পারি।

তবে, এই hard drive, pen drive, mobile এবং অনলাইন ওয়েবসাইট গুলো সেভ (safe) কিনা সেটা সেটা আমরা জানি না।

কম্পিউটার বা ল্যাপটপে এই সিস্টেম গুলোর দ্বারা হওয়া বিভিন্ন কার্যকলাপ গুলোর কারণে আমাদের “কম্পিউটার ভাইরাস আক্রান্ত” হয়ে থাকে।

আমরা হয়তো নিজেও জানি না কখন কিভাবে আমাদের কম্পিউটারে ভাইরাস প্রবেশ করছে। তাহলে চলুন নিচে থেকে জেনে আসি কম্পিউটার ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ গুলোর সম্পর্কে।

what is virus - lookandlearnbd

Overview


কম্পিউটার ভাইরাস কি?

কম্পিউটার ভাইরাস হল এক ধরনের কম্পিউটার প্রোগ্রাম যা ব্যবহারকারীর অনুমতি বা ধারণা ছাড়াই নিজে নিজেই কপি হতে পারে বা নিজের প্রতিরূপ সৃষ্টি করতে পারে। মেটামর্ফিক ভাইরাসের মত তারা প্রকৃত ভাইরাসটি কপিগুলোকে পরিবর্তিত করতে পারে অথবা কপিগুলো নিজেরাই পরিবর্তিত হতে পারে।

কম্পিউটার ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ

আপনার কম্পিউটার বা ল্যাপটপ যদি নিজে নিজে স্লো হয়ে যায় তাহলে বুঝতে হবে এটাই ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার প্রধান লক্ষণ।

যখন দেখবেন কম্পিউটার নিজে নিজে স্লো হয়ে যাচ্ছে, নিজে নিজে রিস্টার্ট হচ্ছে, হ্যাং হচ্ছে তাহলে বুঝতে হবে কম্পিউটারে ভাইরাস থাকার সম্ভবনা অনেক বেশি।

ভাইরাস আক্রান্ত কম্পিউটার গুলোর লক্ষণ গুলো

নিচে উল্লেখ করা সব গুলো কারণের মধ্যে যেকোনো একটি কারণ যদি আপনার কম্পিউটারে দেখেন তাহলে বুঝে নিবেন আপনার কম্পিউটার ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।

  • আপনার কম্পিউটারের মেমোরি হ্রাস পাবে। যার ফলে আপনার কম্পিউটার স্পিড (গতি) কমে যায়।
  • নতুন প্রোগ্রাম ইন্সটল করতে আগের থেকে অনেক বেশি সময় নিবে।
  • কম্পিউটার ওপেন থাকা অবস্থায় এমন কিছু বার্তা আসবে, যেমন – out of memory, file not found ইত্যাদি বার্তা গুলো আসবে।
  • কম্পিউটারে ফাইল (file) ওপেন করে সাধারণত অনেক বেশি সময় লাগবে।
  • চলমান কাজের ফাইল বা সফটওয়্যার গুলো প্রয়োজনের চেয়ে বেশি জায়গা নিবে।
  • কম্পিউটার ওপেন করার সময় অনেক বেশি সময় লাগবে।
  • কম্পিউটারের ফাইল (file) গুলো এমন নাম (rename) হবে যেগুলো সাধারণত পড়া যায় না।
  • কম্পিউটারে কাজ করতে করতে হঠাৎ হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে যাবে।
  • কম্পিউটারের হার্ডডিস্ক এর ফ্রী স্পেস (জায়গা) গুলো অনেক কমে যাবে।
  • কম্পিউটারে কাজ করতে করতে হঠাৎ হ্যাং হয়ে যাবে। মানে আপনার কম্পিউটারে আর কোনো কাজ করবে না।
  • কম্পিউটারের হার্ডডিস্ক এর ফ্রী স্পেস (জায়গা) গুলো অনেক কমে যাবে।
  • কম্পিউটারে থাকা Com, bat, exc ফাইল গুলো ভাইরাসের কারণে নষ্ট হয়ে যাবে।
  • আপনার কম্পিউটারে সেভ করে রাখা অনেক ফাইল হিডেন (hidden) হয়ে যাবে। ঔ ফাইল গুলো ওপেন করতে পারবেন না।
  • কম্পিউটারের হার্ডডিস্ক এক্সিস হতে অনেক বেশি সময় লাগবে।
  • কম্পিউটারে থাকা বিভিন্ন ফোল্ডারের নামসহ সাথে একটি Exe এক্সটেনশন যুক্ত ফোল্ডার পাওয়া যাবে।
  • অনেক বায়োসের (bios) প্রোগ্রাম মুছে ফেলে কম্পিউটারকে অচল করে দেয়।
  • কম্পিউটারে ইন্টারনেট কানেকশন থাকা অবস্থায় ব্রাউজার থেকে প্রচুর বিজ্ঞাপন চলে আসবে।
  • কম্পিউটার চালু থাকা অবস্থায় নিজে নিজে ঘন ঘন অসম্ভাবিক pop-up চলে আসবে।

কম্পিউটার ভাইরাস আক্রান্ত হলে প্রতিকার | কম্পিউটার ভাইরাস আক্রান্ত হলে কি করবেন?

উপরের লক্ষণ গুলো যদি আপনার কম্পিউটারে থাকে দেখা দেয় বা আপনার যদি মনে হয় কম্পিউটার ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে, তাহলে আপনাকে ভালো একটি প্রিমিয়াম এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হবে।

  • আপনাকে ভালো একটি এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার (antivirus software) এবং an anti malware programme এর মাধ্যমে ফুল সিস্টেম স্ক্যান করতে হবে।
    এতে আপনার কম্পিউটারে যদি কোনো ধরনের ভাইরাস থাকে তাহলে সেগুলো ধরা পড়বে এবং ডিলেট হয়ে যাবে।
  • কম্পিউটারে থাকা ভাইরাস গুলো যদি ডিলিট (delete) করতে না পারেন তাহলে কম্পিউটার রিস্টোর করে দিন।
  • এরপর ও যদি কম্পিউটারের ভাইরাস গুলো ডিলিট করতে না পারেন, তাহলে নতুন করে OS install করুন।
    এতে আপনার পুরাতন সকল ফাইল গুলো ডিলিট হয়ে যাবে এবং নতুন ইনস্টল করা ভাইরাস মুক্ত ফাইল ও প্রোগ্রাম গুলো থাকবে।

কম্পিউটার ভাইরাস (computer virus) সম্পর্কে কিছু কথা

আমাদের মানব দেহের ভাইরাসের মতো অনেকটা কম্পিউটারে ভাইরাস। মানব দেহের ভাইরাস যেমন আমাদের শরীর থেকে অন্য শরীরে প্রবেশ করে ঠিক তেমনি একটি কম্পিউটার থেকে ভাইরাস অন্য কম্পিউটারে প্রবেশ করে।

একই ভাবে মানব দেহের ভাইরাসের মতো কম্পিউটার ভাইরাস অনেকটা ছোট হয়ে থাকে। আধুনিক যুগে যেমন উন্নত কম্পিউটার তৈরি হচ্ছে,
ঠিক তেমনি ক্ষতির উপর নির্ভর করে বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস তৈরি হচ্ছে। এই ভাইরাস গুলো হলো – ম্যাক্রো ভাইরাস, ফাইল ভাইরাস, রেসিডেন্ট ভাইরাস ইত্যাদি।


Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.